ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক পদের নির্বাচন গত ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী পরিচালকদের ভোটে গতকাল বৃহস্পতিবার সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও ছয়জন সহসভাপতি নির্বাচিত হন। পরিচালকদের নির্বাচনের ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন আপিল বোর্ডের কাছে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন তিন প্রার্থী।
আপিল বোর্ডের কাছে অভিযোগকারী তিন প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মোস্তফা আল মাহমুদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রস্তুতকারক সমিতির প্রতিনিধি মো. মাহবুব হাফিজ ও বাংলাদেশ মিষ্টি উৎপাদক সমিতির প্রতিনিধি মো. মারুফ আহমেদ।
অভিযোগকারীদের আপিল আবেদনে তাঁরা ১৬তম বিজয়ী শমী কায়সার, ২৩তম বিজয়ী হারুনুর রশীদ ও ২৪তম বিজয়ী (আপিল আবেদনকারী) প্রার্থীর ভোট পুনর্গণনার দাবি করেন।
ভোট পুনর্গণনায় আপিল করা মো. মোস্তফা আল মাহমুদের প্রাপ্ত ভোট ৮০৫, মো. মাহবুব হাফিজের প্রাপ্ত ভোট ৭৯৯ ও মো. মারুফ আহমেদের ভোট ৭৭৫। তাঁরা ভোট গণনাকালে কারচুপির অভিযোগ এনে অভিযোগ করলেও তা আমলে নেয়নি নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
তিন প্রার্থীর অভিযোগ বিষয়ে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রার্থীদের সামনেই ভোট গণনা হয়েছে। কোনো ত্রুটি আমার নজরে পড়েনি। তবে সন্দেহ থাকলে ভোট পুনর্গণনার সুযোগ আছে। ব্যালট পেপারও আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান।’
এফবিসিসিআইয়ের ২০২৩-২৫ মেয়াদের অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পরিচালক পদে ভোট হয়। ২৩ পদের মধ্যে ১৫টি পদে জয়ী হয় সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্রার্থীরা আর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা জয়ী হন ৮টি পদে।