Ajker Patrika
হোম > অর্থনীতি

সেপ্টেম্বরে ৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সেপ্টেম্বরে ৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স

প্রবাসী আয় বাড়ানোর নানামুখী উদ্যোগের মধ্যেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বড় ধাক্কা খেয়েছে। বিদেশে শ্রমিক বাড়লেও উল্টো প্রবাসী আয় কমছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো আয় ছিল মাত্র ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, সদ্যবিদায়ী সেপ্টেম্বরে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এ অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ কোটি ৫৯ লাখ বা ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

এ ছাড়া গত আগস্টের তুলনায়ও সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় কমেছে ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা প্রায় ১৬ শতাংশ। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

উল্লিখিত সময়ে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

 ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

ডলার সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতা রাখতে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংকগুলো। এখন প্রবাসী আয়ে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে। রপ্তানি বিল নগদায়নে প্রতি ডলারের বিপরীতে দাম দিচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং আমদানি ও আন্তব্যাংক লেনদেনে দিচ্ছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।

তবে কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে দেশি মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা পর্যন্ত।

আন্তর্জাতিক নিয়ম আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, সবশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন—যা দিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২৬ হাজার ৯১ বিলিয়ন ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এটি এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

ব্যাংক খাতের প্রভিশন ঘাটতিতে রেকর্ড

১৫ রমজানের মধ্যে প্রণোদনার টাকা চায় বিকেএমইএ

প্রাভা হেলথের নতুন সিইও হিসেবে নিযুক্ত হলেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ইমন

অর্থবছরের ৮ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১০ শতাংশ

নগদ লেনদেনের শর্ত বাতিল দাবি

এবি ব্যাংকের ‘গ্রাহক সম্মাননা’ অনুষ্ঠান আয়োজন

ব্যাংকের নগদ জমা সংরক্ষণ কমে ৩ শতাংশ

ইউসিবির আর্থিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫ উদ্‌যাপন

ভিসা কার্ডে ভারতে ব্যয় কমেছে বাংলাদেশিদের, বেড়েছে থাইল্যান্ডে

এশিয়ার তিনটি নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করছে এমিরেটস