২০২২ সালের নভেম্বরে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে নবীনতম উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা এয়ার এ্যাস্ট্রা। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে ৭ হাজারের বেশি ফ্লাইটে লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে সংস্থাটি। এবার আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলতে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করেছে এয়ারলাইনসটি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর নাগাদ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট শুরু করবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।
প্রাথমিকভাবে বহরে থাকা এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজ দিয়েই আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করতে চায় সংস্থাটি। এ জন্য ভারতের কলকাতা এবং নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ চেয়ে গত মার্চে বেবিচকে আবেদন করেছে এয়ারলাইনসটি। একই সময়ে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ চেয়ে ভারত ও নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ চাওয়ার পাশাপাশি নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন ফি মওকুফ চেয়েও আবেদন করেছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। নেপালের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশনের কাছে করা ওই আবেদনে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণ ফি, জ্বালানি কর ও পার্কিং ফি মওকুফ চেয়েছে সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে এয়ার এ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভারত ও নেপালের মধ্যে যেটির অনুমতি আগে পাওয়া যাবে, সেটি দিয়েই আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ একটি এটিআর ৭২-৬০০ যুক্ত হলে বহরে উড়োজাহাজ হবে ৪টি। এসব দিয়েই আপাতত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আশা করা যায়, আগামী অক্টোবর নাগাদ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব হবে।
ইমরান আসিফ বলেন, ‘নেপাল ভ্রমণে যাওয়া অধিকাংশ বাংলাদেশি যাত্রী পোখারায় যান। সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় এসব যাত্রীকে কাঠমান্ডু হয়ে পোখারা যেতে হয়। আমরা পোখারায় সপ্তাহে ৩টি এবং কাঠমান্ডুতে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছি।’