অনলাইন ডেস্ক
ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে জাকাত কার্যক্রম শুরু করে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নজির স্থাপন করেছে মালয়েশিয়া। আজ মঙ্গলবার দেশটির ফেডারেল টেরিটরিজ ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিলের জাকাত কালেকশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতুক আবদুল হাকিম আমির ওসমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
দাতুক আবদুল হাকিম বলেন, ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির যুগে মুসলমানদের জাকাতের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেই এই উদ্যোগ।
বুলেটিন টিভি ৩ জানিয়েছে, জাকাত প্রদানে আধুনিক ও সহজতর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এটি রিলিজিয়াস কাউন্সিলের সর্বশেষ উদ্যোগ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মালয়েশিয়ার নাগরিকেরা প্রায় ১৬ বিলিয়ন রিঙ্গিত ডিজিটাল সম্পদ বা ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিক। আর এই অর্থের ওপর এখন থেকে জাকাত ধার্য করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দাতুক আবদুল হাকিম জানান, মালয়েশিয়ায় ক্রিপ্টো কারেন্সি বর্তমানে একটি দ্রুত বিকশিত খাত এবং দেশটির মোট বিনিয়োগকারীদের ৫৪ দশমিক ২ শতাংশই এই খাতে বিনিয়োগ করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে এবং তাদের হাতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি রিংগিতের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ হাজার ৫২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা) সম্পদ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করছি, ক্রিপ্টো খাত জাকাতের একটি নতুন উৎস হতে পারে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য।
৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬৪ হাজার জনসংখ্যার দেশ মালয়েশিয়ার ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ মুসলিম। দেশটির ক্রিপ্টো খাতে বিনিয়োগকারীদেরও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম। সম্প্রতি, ফেডারেল টেরিটোরিজ ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিলের ১৩৪ তম সেশনে ডিজিটাল কারেন্সিকে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দাতুক আবদুল হাকিম বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি। অর্থনীতি ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, তাই আমাদেরও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল সম্পদ থেকে জাকাত সংগ্রহের পরিমাণ ২০২৩ সালে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ হাজার ৯৮৩ দশমিক ৯১ রিঙ্গিতে পৌঁছায়। চলতি বছরে এই সংগ্রহ প্রায় ৪৪ হাজার ৯৯১ দশমিক ৯৭ রিঙ্গিতে পৌঁছেছে।