নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, ইকোনমি ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলরেরা। আজ মঙ্গলবার পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার শেষে বিদেশিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
সেমিনারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এশিয়ার দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন। ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ উদ্যোগ সফল হলে নারী ক্ষমতায়নসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনা সম্ভব হবে। দেশের মূল রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়াও চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যাল ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে। আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সম্পদ বিনিময় হচ্ছে ‘সাপ্লাই চেইন’ এর সংকট সমাধানের অন্যতম মাধ্যম। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে আর্জেন্টিনা, ব্রুনেই, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জাপানের একটি সংগঠন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলরেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, দেশের রপ্তানি বাড়াতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনের আগের দিন (২০ জানুয়ারি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের মেলার আনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।