নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আয় কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত সরকার। তাই প্রবাসী আয়ের ধারা আগের অবস্থানে নিতে বৈধ পথে অর্থ দেশে প্রেরণে ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এতে তিনি দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে এ প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে এ অর্থবছরে ৮ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের প্রবাসী আয় রেকর্ড ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকে বিদেশ থেকে আয় কিছুটা কমতে শুরু করে। এ জন্য বৈধ পথে বিদেশ থেকে আরও বেশি করে টাকা পাঠানোকে উৎসাহিত করতে আগের ২ শতাংশের সঙ্গে আরও দশমিক ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আগে ৫ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ পাঠাতে হলে তা বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা ছিল, যা সম্প্রতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পদক্ষেপগুলোর কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রেমিট্যান্স আসা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। আশা করা যায় যে, শিগগিরই প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা ফিরে আসবে। আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।’
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশে শ্রমিক রপ্তানির বিস্তারিত তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ আরম্ভ করা হবে। এ ছাড়া এ অর্থবছরে ৮ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং ৫ লাখ ২০ হাজার জনকে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সম্পর্কিত পড়ুন: