হোম > অর্থনীতি

মূল্যস্ফীতি কমলেই ডলারের বাজার স্থিতিশীল হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে সবার আগে মূল্যস্ফীতি কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন আহসান এইচ মনসুর। মূল্যস্ফীতি কমলে এমনিতেই ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক। 

আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এসব পরামর্শ দেন বলে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান। তবে আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, মূল্যস্ফীতি, ডলারের দামের অস্থিতিশীলতা এবং খেলাপি ঋণ এসময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সবার আগে মূল্যস্ফীতি কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন পিআরআই নির্বাহী পরিচালক। পাশাপাশি নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন এই অর্থনীতিবিদ। 

মুখপাত্র আরো জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক আহসান এইচ মনসুরকে জানায়, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমিয়েছে সরকার। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এখন আর টাকা নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে সরকার আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণও নিচ্ছে না। তবে প্রয়োজন হলে এখন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে সরকার। 

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠকে নতুনভাবে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

ওইদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখপাত্র বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরশনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব পরামর্শ আসবে সে অনুযায়ী আগামী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও অন্যান্য দেশের তুলনায় আমারা ভালভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। আমরা যে এখনও সংকটের মধ্যে আছি তা সত্য। তবে সেই সংকট নিরশনে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেমন আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রেমিটেন্স সংগ্রহ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশও তার মাশুল গুনছে। 

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন মুখপাত্র। ভবিষ্যতে আরো অর্থনীতিবিদ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনৈতিক খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট মাসে তা আবার বেড়েছে। গত মাসে (আগস্ট) মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এই সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। সরকারের প্রত্যাশা ছিল, আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমবে। 

২৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মূল্যস্ফীতি জোর করে কমানো যায় না। কার্যকর নীতি নিতে হবে। আমি ঝুঁকি নিয়ে বলতে পারি, চলতি আগস্টে মূল্যস্ফীতি ২ থেকে ৪ পয়েন্ট কমবে।’ কিন্তু গত মাসে তা উল্টো বেড়েছে। 

এদিকে গত ১৯ আগস্ট পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, মূল্যস্ফীতির হার আগের পর্যায়ে নামতে এক বছর সময় লাগবে।  অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক ওয়ার্কিং পেপার বা কার্যপত্রে যা বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হলে ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি প্রণয়নের পাশাপাশি দেশীয় মুদ্রার দরপতনের হার কমাতে হবে।

ভরসার বিমায় হতাশার ছায়া

মিডিয়াকমের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শিরোপা পেল নিউজ ২৪

এনআরবি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘বিজনেস পলিসি ও প্ল্যানিং কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ‘আর্থিক তথ্য প্রকাশ’ বিষয়ে কর্মশালা

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জুলস পাওয়ারের এমডি প্রয়াত নুহের লতিফকে বনানীতে সমাহিত

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বিনা মূল্যে দেখা যাবে টফিতে

পর্দা নামল ২৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক প্রদর্শনীর

সেকশন