বিশ্ববাজারে চাল ও গমের দাম কমেছে। এশিয়ার বাজারে চাহিদার চেয়ে চালের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় ভালো ফলনের কারণে টানা তৃতীয় মাসের মতো গমের দাম কমেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এশিয়ার সবগুলো দেশের চালের ক্রয়াদেশ কমেছে। এ কারণে চালের দামের সাধারণ সূচক ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১৩৮ দশমিক ১ পয়েন্টে নেমেছে।
খাদ্যমূল্য নিয়ে এফএওর হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার প্রধান রপ্তানিকারকেরা মার্চজুড়েই ইনডিকা জাতের চালের দাম কমিয়ে ধরেছে। চাল উৎপাদনকারী প্রধান প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানে সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম পড়েছে।
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ভিয়েতনামে। দেশটিতে রপ্তানির জন্য চালের দাম ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৫ শতাংশ কমিয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভরা মৌসুমের চাল উৎপাদন ও মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা ডং দুর্বল হওয়ায় এমনটি ঘটেছে বলে এফএও বলেছে।
তাছাড়া রপ্তানি আদেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমায় থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানেও চালের দাম কিছুটা কমেছে। চালের বাজার চাঙা আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভিয়েতনামের চালের (২৫ শতাংশ ভাঙা) দাম এক মাসে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৫৪৫ দশমিক ৬০ ডলারে নেমেছে। একই ধরনের পাকিস্তানি চালের দাম ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৫৩৩ দশমিক ৮০ ডলারে নেমেছে।
আর থাইল্যান্ডের চালের (থাই হান্ড্রেড পার্সেন্ট বি) দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৬৩০ ডলারে নেমেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চালের দাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭৯২ দশমিক ৫০ ডলারে উঠেছে।
এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গমের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে দাম ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে টনপ্রতি গম ২০২ দশমিক ৭৫ ডলারে বিক্রি হয়।
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে গমের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যথাক্রমে ২১৩ দশমিক ৮৬ ও ২৭৪ দশমিক ৩৫ ডলারে বিক্রি হয়।