হোম > অর্থনীতি

মার্চে মিলছে না আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি

অনলাইন ডেস্ক

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার নির্ধারিত সময় মার্চ মাসে মিলছে না। সব শর্ত পূরণ না করায় অর্থ ছাড়ে তিন মাস দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সব শর্তপূরণ না করায় চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার মার্চের পরিবর্তে আগামী জুনে ছাড় হতে পারে। একই সঙ্গে পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ের প্রস্তাবও আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। আমরা তাড়াহুড়ো করছি না। এটি কোনো ভিক্ষার বিষয় নয়; বরং শর্ত মেনে, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ গ্রহণ করি। কিছু শর্ত রয়েছে, যা রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক রয়েছে। তাই আমরা মরিয়া হয়ে ঋণ নিচ্ছি না।’

আইএমএফ ঋণসংক্রান্ত প্রস্তাব মার্চে উঠবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মার্চে নয়, আমরা অপেক্ষা করব। আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উপস্থাপন করা হবে।’

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করেছে সংস্থাটি। সর্বশেষ গত বছর জুনের শেষ সপ্তাহে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ।

গত ডিসেম্বরের চতুর্থ কিস্তি ঋণ অনুমোদনের আগে আইএমএফের ১৩ সদস্যসের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে আইএমএফের বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কর সংগ্রহ বাড়িয়ে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চাই। এনবিআর এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেবে। জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে করযোগ্য আয় থাকা ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীদের করের আওতায় আনতে তালিকা তৈরি ও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হবে জেলা প্রশাসকদের।’

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা প্রচুর বিক্রি করেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা যে ফি নেন, সেগুলো রসিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করে করের আওতায় আনা হবে। করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধি করা হবে। দেশে ৫০-৬০ লাখ শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকলেও মাত্র ৫ লাখ কর দেয়, যা বাড়ানো প্রয়োজন।

গ্রামীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গ্রামে কর্মসংস্থান বাড়ানো সহজ। চীনের গ্রামীণ শিল্পের গভীর যোগাযোগ রয়েছে, যার ফলে সেখানকার পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাওয়া যায়। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমন উদ্যোগ প্রয়োজন, যাতে প্রত্যন্ত এলাকার পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব হয়। ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি।

ডিসিরা দুর্গম এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত উন্নত করার বিষয়টি উত্থাপন করলে অর্থ উপদেষ্টা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া এসএমই খাতে ছোট উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না বলেও তাঁরা জানান, যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গ্রামাঞ্চলে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কৃষি এখন দেশের অন্যতম প্রধান খাত। এটি সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইফাদ বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এসব খাতে আরও বেশি অর্থায়নের জন্য আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি।’

সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সেবার মান নিশ্চিত করা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যদি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা দক্ষ ও জনসেবায় নিয়োজিত থাকেন, তাহলে জনগণ কার্যকরভাবে সেবা পাবে। তাই সরকারের সঙ্গে ডিসিদের যোগাযোগ আরও বাড়ানো দরকার।

সরকারি অর্ডারে ফিরছে মিরাকল

সবুজ উন্নয়নে ব্যাংকগুলোর ঝোঁক

যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানিতে ভর্তুকি দাবি

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে ডলারের ব্যাপক দরপতন, তেজি হয়ে উঠল সোনা

পিন ছাড়াই রবি ও এয়ারটেল অ্যাপে বিকাশ পেমেন্টের সুবিধা

সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ছাড়াল

গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরদার আকতার হামিদ

স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে নতুন মার্কিন শুল্ক থেকে অব্যাহতি

দেশের বাজারে ইয়ামাহার নতুন আকর্ষণ এফজেড২৫

আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে: ফাহমিদা খাতুন