অব্যাহতভাবে রিজার্ভ কমার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল নীতিকেই দুষছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই অবস্থায় রিজার্ভের লক্ষ্যপূরণে কী কী বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং এ বিষয়ে লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আইএমএফের ঢাকা সফররত প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার এ বৈঠক হয়েছে।
সূত্র জানায়, বারবার সময় নেওয়ার পরও কেন রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য এবং লক্ষ্য পূরণে কী কী বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে আন্তর্জাতিক এই দাতা সংস্থা। এ ক্ষেত্রে আগামী বৈঠকের (৮ মে) আগেই এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
পাশাপাশি খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশে কোনো গলদ রয়েছে কি না সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে আইএমএফ। একই সঙ্গে মামলায় আটকা, পুনঃ তফসিল ও অবলোপনকে ব্যাংকের খারাপ সম্পদ হিসেবে গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে কি না সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র জানায়, ঋণখেলাপিদের বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সুবিধা দিচ্ছে কি না সংস্থাটিকে তাও অবহিত করতে বলা হয়েছে। যদি খেলাপিদের ব্যাপারে কোনো উদারতা দেখানো হয়, সেখান থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। যদিও সম্প্রতি পুনঃতফসিল ও অবলোপন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা নীতিমালার বিষয়ে তেমন কোন মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি অর্থ পাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য ও পাচার ঠেকাতে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইএমএফের ঢাকা সফররত দল তাদের মধ্যবর্তী সফর সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক করেছে। এ ছাড়া একীভূতকরণ নীতিমালা নিয়ে পলিসি অ্যাডভাইজার আবু ফরাহ নাসেরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছে।