নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাত রপ্তানি ও রেমিট্যান্স সমান্তরালে এগোতে পারছে না। রেমিট্যান্সের প্রবাহ সামান্য বাড়লেও লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না রপ্তানি আয়ের। ঈদের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে অর্থবছরের ১০ মাসে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি রপ্তানি আয়ের। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে। আর একক মাস এপ্রিলেও কমেছে রপ্তানি। জুলাই-এপ্রিল সময়ে মোট রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আর এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলার। গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ রপ্তানি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ২২৯ কোটি ডলার। আর এ সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৪৯ কোটি ডলার। এক সময়ের পাটপণ্যের রপ্তানিও প্রতিনিয়ত কমছে। গত ১০ মাসে এ পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তথ্য বলছে, গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে এ বছরের এপ্রিলেও রপ্তানি কমেছে শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ। এপ্রিলে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এ সময়ে রপ্তানির লক্ষ্য ছিল ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে ঈদের পরেও ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মাস মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন প্রায় ২১৭ কোটি ডলার। জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করা হয়েছিল ২১১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সাধারণত রোজা, ঈদ, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে প্রবাসীরা অন্য সময়ের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি ডলার দেশে পাঠান। কিন্তু রেমিট্যান্সে এসবের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মার্চ ছাড়া তার আগের দুই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স অনেক কম এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, প্রবাসী আয় রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায়। এবার মার্চের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। তবে তার আগের দুই মাসের তুলনায় কমেছে।