হোম > অর্থনীতি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে বড় যে পাঁচটি বাধার কথা বলল আইএফসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগে পিছিয়ে রয়েছে। জিডিপির তুলনায় বিনিয়োগের হার তেমন বাড়ছে না। বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বিনিয়োগে পাঁচটি বড় বাধা এখনো রয়েছে—বিদ্যুৎ সমস্যা, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য ও উচ্চ করহার।

কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি) শীর্ষক এই প্রতিবেদন রাজধানীতে আয়োজিত চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রকাশ করা হয়। এতে ২০২২ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতিবেদনটি বাস্তবসম্মত, কারণ এই বাধাগুলো এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিকভাবে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে ২ শতাংশের কম, কিন্তু বাংলাদেশে তা কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ। ওই বছর বাংলাদেশ এফডিআই পেয়েছে ৩০০ কোটি ডলার, যেখানে ভারত ২ হাজার ৮১৬ কোটি, ভিয়েতনাম ১ হাজার ৮৫০ কোটি, ইন্দোনেশিয়া ২ হাজার ১৬৩ কোটি, কম্বোডিয়া ৩৯৬ কোটি ও পাকিস্তান ১৮২ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পায়। জিডিপির অনুপাতে এফডিআই ছিল মাত্র ০ দশমিক ৪ শতাংশ।

আইএফসি বলছে, বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ আকর্ষণ হারাচ্ছে। বিদ্যমান বিদেশি কোম্পানিগুলো মূলত বিনিয়োগ করছে, নতুন কোম্পানির আগমন কম। পাশাপাশি রয়েছে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, নীতির অনিশ্চয়তা, সুশাসনের অভাব, আইনি জটিলতা ও দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৌশলগতভাবে চারটি খাতে—আবাসন, রং ও ডাইস, তৈরি পোশাক ও ডিজিটাল আর্থিক সেবা—নীতি সহায়তা দিলে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। এসব খাতে বিনিয়োগে বাধা হিসেবে জমির জটিলতা, শুল্কায়নের দীর্ঘসূত্রতা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সীমাবদ্ধতা ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএফসি তাদের প্রতিবেদনে আরও বলেছে, স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের পরে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশি রপ্তানিপণ্যে শুল্কহার বেড়ে যাবে। কারণ, তখন পণ্য রপ্তানিতে বর্তমান বাজার–সুবিধা থাকবে না। বিশেষ করে, ইউরোপের বাজারে সবচেয়ে বেশি হারে শুল্ক বাড়বে। ফলে প্রধান বাজারগুলোয় প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি পরিবেশ ও শ্রমসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে বিনিয়োগ করতে হবে।

আইএফসির প্রতিবেদন প্রকাশের পরে অনুষ্ঠানস্থলে দুটি পৃথক প্যানেল আলোচনা হয়। প্রথম প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন। প্যানেল আলোচনা দুটি সঞ্চালনা করেন আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান।

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আইএফসির প্রতিবেদনের সমস্যাগুলো নতুন নয়, তবে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, কর্মসংস্থান বাড়ানো সরকারের প্রধান লক্ষ্য, আর এই সুপারিশগুলো কাজে লাগবে।

ব্যবসায়ী শরিফ জহির অবকাঠামো, জ্বালানি, পরিবহন, সরবরাহ ও শুল্ক–করসংক্রান্ত সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরে বলেন, সব সমস্যার সমাধান সম্ভব, তবে দরকার একটি সুস্পষ্ট পথনকশা।

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রেমিট্যান্স সংগ্রহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন জনতা ব্যাংকের

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ ফের যাচাই করা হবে: গভর্নর

একীভূত পাঁচ ব্যাংকের নামের সাইনবোর্ড বদলাচ্ছে আজ-কালের মধ্যেই: গভর্নর

সীমাবদ্ধতার মাঝেও সাফল্যের গল্প