চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসের ব্যবসার তথ্য প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারের কিছু কোম্পানি। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে ১৯টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসায় লাভ-ক্ষতির হিসাব জানিয়েছে। এতে দেখা গেছে, সবগুলো কোম্পানি মুনাফা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি বা ৭৪ শতাংশ কোম্পানির মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর ৫টির মুনাফা আগের তুলনায় কমেছে।
তবে ৬ মাসের মুনাফার খবরে উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৬ মাসে মুনাফা করেছে বলে তথ্য দিয়েছে। পরের ৬ মাসে মুনাফায় থাকবে কি না, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। মুনাফা বাড়তেও পারে, কমতেও পারে।
মুনাফায় প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের। আগের বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বা ইপিএস ছিল ৬ পয়সা, এবার হয়েছে ১৬ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬৬ শতাংশ। এরপরই ৪৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা।
৬ মাসে ইস্টার্ন ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা, যা আগের ৩৩ শতাংশ বেশি। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের ইপিএস ৩১ শতাংশ বেড়ে ১ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আর পঞ্চম স্থানে থাকা সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্সের মুনাফা বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
এরপরে ঢাকা-ব্যাংকের ১৫, রূপালী ব্যাংকের ১৯, আইপিডিসির ১৩, এসবিএসি ব্যাংকের ১২, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সের ৮, এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্সের ৪ এবং সিকদার ইনস্যুরেন্স ও ট্রাস্ট ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ২ শতাংশ করে।