হোম > অর্থনীতি

কড়া বার্তা দিয়ে সরল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 

ফাইল ছবি

খেলাপি ঋণ নিয়ে নানা হুঙ্কারের পর ফের পিছুটান নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে জন্য ঋণের মেয়াদ ৯০ দিন পার হলে তা খেলাপি করা হবে, এমন সিদ্ধান্ত আগামী এপ্রিলে কার্যকর না করে জুলাই মাস থেকে কার্যকরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে এস আলম, বেক্সিমকো গ্রুপ, জেএমআই, নাবিল গ্রুপসহ বড় গ্রুপগুলো বাড়তি সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

মূলত অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা পেয়ে খেলাপির নতুন সংজ্ঞা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে অনাদায়ি অর্থ আদায়ের লক্ষ্যের ঋণ পুনঃ তফসিলে বাড়তি সময় নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য এককালীন পরিশোধের (ডাইন পেমেন্ট) পরিমাণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সাত সদস্যের ওই কমিটি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণ শ্রেণীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সে অনুযায়ী ৯০ দিনের বেশি ঋণ অনাদায়ি হলে তা খেলাপি করার জন্য গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী এপ্রিল থেকে এটি কার্যকরের কথা ছিল। তবে দুই মাসের কম সময়ে সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে। খেলাপি কম দেখানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জন্য ঋণ খেলাপির বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়নের কথা। তবে বকেয়া আদায়ের স্বার্থে ঋণ পুনঃ তফসিল নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে তা সময়মতো গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’

গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ব্যাংকঋণের মান নির্ধারণে আবারও আন্তর্জাতিক চর্চা শুরু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোনো ঋণ পরিশোধ না করলে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। এরপর অনাদায়ি হিসেবে ওই ঋণ ৯০ দিন অতিক্রম করলে খেলাপি হয়ে যাবে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘ঋণ যা খেলাপি হওয়ার, তা আগেই হয়েছে। এটা কার্পেটের নিচে ঢেকে রেখে লাভ নেই। আদায় বাড়াতে কাজ শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বৃহৎ কোনো স্বার্থে গভর্নর দুই মাস সময় বাড়ালে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলোতে গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ বর্তমানে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আইএমএফ খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে নামাতে পরামর্শ দিয়েছে, সরকারি ব্যাংকের জন্য ১০ ও বেসরকারি ব্যাংকের জন্য ৫ শতাংশ। বর্তমানে ডজনখানেক ব্যাংকের খেলাপি ৪৫ থেকে ৯৯ শতাংশে রয়েছে।

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রেমিট্যান্স সংগ্রহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন জনতা ব্যাংকের

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ ফের যাচাই করা হবে: গভর্নর

একীভূত পাঁচ ব্যাংকের নামের সাইনবোর্ড বদলাচ্ছে আজ-কালের মধ্যেই: গভর্নর

সীমাবদ্ধতার মাঝেও সাফল্যের গল্প