তৈরি পোশাকের বর্জ্যকে (ঝুট কাপড়) পুনর্ব্যবহারের পর তা থেকে সুতা তৈরি করে পোশাক উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঝুট থেকে সুতা তৈরি করলে দেশে তুলা আমদানির খরচও কমবে। তবে এ জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা দরকার।
তাঁরা বলছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ঝুট কাপড় উৎপাদন করে। এ খাত থেকে প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার ‘সুইচ টু আপস্ট্রিম সার্কুলারিটি রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন: আ পাথ টুওয়ার্ডস সার্কুলারিটি ইন বাংলাদেশ আরএমজি ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখার প্রধান মো. আবদুর রহিম খান, বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের ডেপুটি হেড ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার এবং সার্কুলার ইকোনমি ইন গ্লোবাল ভ্যালু চেইন, ইউনিডোর চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মার্ক ড্রেক ও বিজিএমইএর ব্যবসায়ীরা।
পোশাকশিল্পকে চক্রাকার অর্থনীতিতে রূপান্তর এবং বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে সুইস টু সার্কুলার ইকোনমি ভ্যালু চেইন শীর্ষক একটি প্রকল্প বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ইউএসআইডিও এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে।
আবদুর রহিম খান বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ঝুট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে এবং এটি আমাদেরকে সার্কুলারিটির দিকে স্থানান্তরে সহায়তা করবে। সার্কুলারিটির জন্য একটি জাতীয় কৌশল নীতি অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদেরকে অবশ্যই শূন্য-বর্জ্য নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বার্ন্ড স্প্যানিয়ার বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাসটেইনেবল এবং সার্কুলার টেক্সটাইলের জন্য ইইউ কৌশলগুলোর অধীনে, পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোকে লিনিয়ার থেকে সার্কুলার উৎপাদন মডেলে যেতে হবে।’