বিবিসি বাংলা
বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত নেওয়ার সুযোগসহ বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য অন্যান্যবারের চেয়ে এবার অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি-প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) বিদেশি কোম্পানির জন্য বাড়তি সুবিধা রাখা হয়েছে। ফলে সাগরের ২৪টি ব্লকে ডাকা আন্তর্জাতিক দরপত্রে আরও বেশি-বিদেশি কোম্পানি অংশ নেবে বলে আশা করছে সরকার।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের তরফ থেকে এমন দাবি করা হয়। এর আগে গত রোববার পেট্রোবাংলা এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করে। পিএসসি-২০২৩-এর অধীনে এই দরপত্র ডাকা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকা হয়েছিল। তবে সেবার কেউ অংশ নেয়নি দরপত্রে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ অন্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জানানো হয়, এবার দরপত্রে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ৫৫টি কোম্পানি অংশ নিতে পারে।
পরে গতকাল বিকেলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অফশোর ও অনশোরের জন্য আলাদাভাবে পিএসসি হালনাগাদ করা হলেও করোনা মহামারির জন্য দরপত্র আহ্বান করা সম্ভব হয়নি।
পিএসসি ২০১৯-কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরও যুগোপযোগী ও প্রতিযোগিতামূলক করা হয়েছে। নতুন পিএসসিতে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য দেশের সমুদ্র এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আকর্ষণীয় বিষয় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গভীর ও অগভীর সমুদ্রাঞ্চলের উভয়ের জন্য বার্ষিক বিনিয়োগের অর্থ সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ হারে নেওয়া যাবে। ফলে ঠিকাদার তার বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত নিতে পারবে।