বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএতে এ পর্যন্ত ৪৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতির তালিকা জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭) দুপুর পর্যন্ত পাওয়া তালিকা অনুযায়ী ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৪৪টি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষতির তালিকা জমা দিয়েছেন। এতে প্রাথমিক ভাবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
সৈয়দ নজরুল আরও বলেন, ‘এটি তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য এটি বিশাল ধাক্কা। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে অনেক বেগ পেতে হবে।’
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে আর্থিক ক্ষতির চেয়ে গার্মেন্টস মালিকেরা নানা প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছেন। একদিকে বন্ড সুবিধায় আনা ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে না পারায় কাস্টমস বন্ডের মামলা খেতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকেও নানা কৈফিয়ত দিতে হবে। এ ছাড়া বিশ্ব বাজারে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। এটি তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেছেন, ‘বিএম ডিপোতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিরূপণ করা হয়নি। কী পরিমাপ পণ্য বা কতটি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাও জানা যায়নি।’
বিএম ডিপোতে বাংলাদেশ নিটওয়্যার মেনুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) থেকে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। বিকেএমইএ থেকে তাদের সদস্যদের সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। বিএম ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত সবার নাম ও ক্ষতির পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে।
বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী আজকে পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এই ডিপোতে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কনটেইনার ছিল। এর ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। ১৯টি কনটেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। ছয়টি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়েছে। ছয়টি অক্ষত রয়েছে। এখানে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে।