শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছেন না মেহেরপুরের কৃষকেরা। উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার চাষিরা। ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতে।
কৃষি বিভাগ বলছে, একই সঙ্গে মেহেরপুরসহ সারা দেশের শীতকালের সবজি উঠতে শুরু করেছে তাই এমন দরপতন।
কৃষকের হতাশার খবর চোখে পড়ে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের। খবর জানার পর স্বপ্নের প্রতিনিধি গিয়ে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজারটি ফুলকপি কিনেছেন গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায়।
ফুলকপি সবজি চাষি রকিব আলী জানান, এক বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। লাভের মুখ না দেখে উল্টো জমিতে ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। চিন্তা ছিল অনেক। সেখানে আশার মুখ দেখালে সুপারশপ স্বপ্ন। আমাদের থেকে ১০ হাজার পিস ফুলকপি কিনেছেন তারা। সেখান থেকে আমার কিছু টাকা আয় হয়েছে। স্বপ্নকে অনেক ধন্যবাদ।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, প্রতিবছর এ মৌসুমে মেহেরপুরে ব্যাপক ভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ হয়। হঠাৎ দরপতন হয়েছে। স্বপ্নকে এমন উদ্যোগ নেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মেহেরপুরের কৃষকদের এই হতাশার বিষয়টি চোখে পড়ে আমাদের। এরপর স্বপ্নের টিম মেহেরপুরের সেই কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ফুলকপি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বপ্নের সম্মানিত ক্রেতাদের জন্য আজ থেকেই স্বপ্ন আউটলেটে থাকবে মেহেরপুরের সেই কৃষক ভাইয়ের জমির ফুলকপি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ।