ছাপানো টাকা ব্যবহারের বদলে ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিবছর অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে মনে করেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। সংসদ সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের শপথ গ্রহণ কক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশ নেন। স্পিকারসহ অনেক সংসদ সদস্য তানভীর এ মিশুককে দেশের আর্থিক খাতে দেশের বিবর্তনের নানান ধাপ ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রার দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন।
আলোচনায় মিশুক বলেন, ‘প্রতিবছর কেবল টাকা ছাপতেই সরকারের ৫০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। তা ছাড়া এই টাকার ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ, লেনদেনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা এবং তাঁর ফলে যে সম্ভাবনার অপচয় হয় সেটির মূল্য অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ২০১৯ সালেই উল্লেখ করা হয়েছে।’
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল বা স্মার্ট লেনদেনের কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং আমাদের এদিকে যেতেই হবে’, বলেন তানভীর এ মিশুক।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে মিশুক বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে দেশের বিশেষ কোনো এলাকা দেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন, তাহলে আমরা নগদ থেকে ওই অঞ্চলকে ক্যাশলেস লেনদেনের মডেল হিসেবে তৈরি করে দেব।’ এটি করা গেলে অভাবনীয় একটি কাজ হবে বলেও তিনি মনে করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়ায় সাড়া ফেলেছে নগদ। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপকরণ ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাসহ আরও অন্তত ১০টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা ও সরকারি সহায়তা নগদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এ ছাড়া নগদে বিভিন্ন সেবা চালু রয়েছে।