বরিশাল প্রতিনিধি
মোবাইল আর্থিক সেবা খাতের ১০ বছর পূর্তি উদ্যাপনে বরিশাল নগরে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) মেলা। কীর্তনখোলা নদীর তীরে ত্রিশ গোডাউন প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের মহাব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমান।
এ সময় প্রধান অতিথি মাহাবুবুর রহমান বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে এক সময় লেনদেন ভাতের মতো ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে সক্ষমতা আসবে মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে।
মেলায় এমএফএস নিয়ে সচেতনতামূলক পুতুল নাচ, গম্ভীরা, পথ নাটক প্রদর্শিত হয়। ১১ কোটির বেশি গ্রাহকের এমএফএস খাতের ১০ বছর পূর্তি উদ্যাপিত হচ্ছে ‘হাতের মুঠোয় আর্থিক সেবা’ স্লোগানে। স্লোগানের সঙ্গে মিল রেখে মেলায় ১০ বছর পূর্তির ‘থিম সং’ও উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক রাফেজা আক্তার কান্তা, উপপরিচালক ফারহানা তারান্নুম তানিয়া, আনোয়ার উল্লাহসহ এমএফএস প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, পরিবেশক, এজেন্ট ও ব্যাংকের কর্মকর্তা।
১০ বছর পূর্তি আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়, ট্যাপ, মাই ক্যাশ, টেলিক্যাশ, মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড, এফএসআইবি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, ওকে ওয়ালেট, ইসলামিক ওয়ালেট ও নগদ।
আয়োজকদের তথ্যমতে, এক দশক আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের মোবাইল আর্থিক সেবার পথ চলা শুরু হয়। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং সেবার বাইরে বা সীমিত ব্যাংকিং সেবার আওতায় থাকা জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১১ সালে শুরু হয় মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণে এই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে মাত্র দশ বছরে এমএফএস এখন দেশের মানুষের প্রতিদিনের আর্থিক লেনদেনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে সবগুলো এমএফএস মিলিয়ে গ্রাহকসংখ্যা ১১ কোটির বেশি। এজেন্ট সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। গড়ে দৈনিক দুই কোটি বার লেনদেন হয় এমএফএসে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর জন্য ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউটের সুযোগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল সেবা যুক্ত করেছে এমএফএস। এর ফলে সক্ষমতা ও স্বাধীনতা এসেছে মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে।