প্রথমবারের মতো একুশে বইমেলায় ঘুরতে এসে দারুণ উচ্ছ্বসিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী সুদিপ, সাকিবুল ও আল আমিন। ওদের মতোই মেলায় ঘুরে দিনশেষে বিকাশের দেওয়া গল্পের বইসহ নানা ধরনের বই উপহার পেয়ে আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে রাজশাহীর গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী শুভজিত, আরেফিন ও শুভ্রজিৎ এবং রাজশাহী আলোর পাঠশালার মণিকা, সুরভী, জেসমিন ও ঐশীর।
গত তিনটি বইমেলার ধারাবাহিকতায় এবারও মেলায় আসা দর্শনার্থী-লেখক-প্রকাশকদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করছে বিকাশ। মেলায় আসা ক্রেতা-পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের দেওয়া বই এবং বিকাশের পক্ষ থেকে দেওয়া বই মিলিয়ে এবারও প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল,পাঠাগারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিগুলোতে বিতরণ করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা, রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী আলোর পাঠশালা এবং গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং আলোর পাঠশালা থেকে আসা এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুর হাতে বইগুলো তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম।
শিশুদের হাতে বই তুলে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বিকাশের উদ্যোগে বই সংগ্রহ করে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের এই প্রয়াস তাদের মেধা ও মনন বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী বই অনুদান করি, তবে আলো ছড়িয়ে যাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীসহ সবার মাঝেই।’
বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনসের শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘বইমেলাকে কেন্দ্র করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে কয়েক বছর ধরে বই বিতরণ করছে বিকাশ। এ বছর পাঠক-লেখক-প্রকাশকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বইয়ের সঙ্গে বিকাশের দেওয়া বই যোগ করে তা সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে বিতরণ করবে বিকাশ। ফলে পাঠকেরা যত বেশি বই দেবেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা তত বেশিসংখ্যক বই পড়ার সুযোগ পাবে।’
বইমেলা উপলক্ষে গত তিন বছরে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৭২ হাজার ৫০০টি বই বিতরণ করেছে বিকাশ। এবারের বই বিতরণ কার্যক্রমকে সফল করে তুলতে মেলা প্রাঙ্গণে বুথ তৈরি করেছে বিকাশ। বুথে এসে নতুন-পুরোনো সব ধরনের বই দিতে পারছেন আগ্রহীরা। যাঁরা ঢাকার বাইরে আছেন, তাঁরা নিজ নিজ এলাকার বিকাশ গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়েও বই দিয়ে আসতে পারবেন।