পুঁজিবাজারের দরপতন থামছেই না। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবস, অর্থাৎ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দিন পতন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। দরপতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে পুঁজি রক্ষা করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অনেকে।
গতকাল সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে লেনদেনের শেষ আড়াই ঘণ্টায় ঢালাও দরপতন হয়। এতে দাম কমার তালিকা যেমন বড় হয়েছে, তেমনি সব কটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে মাত্র ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়।বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৫টির অপরিবর্তিত রয়েছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকের অনেক বড় পতন থেকে রক্ষা হয়েছে।
দিনশেষে ডিএসইর সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪৩ পয়েন্ট কমেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে।
সব কটি মূল্যসূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৩৬৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।