নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক চিফ হুইপ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুস শহীদসহ তিনজনের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য দুজন হলেন—বগুড়া–৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান ও সাবকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মাকসুদ।
আজ রোববার কমিশন সভায় সংস্থাটির গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৌলভীবাজার–৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংসদ সদস্য হয়ে বন বিভাগের জমি দখল করে চা বাগান তৈরি এবং চা বাগানে সড়কবাতি ও ডিপ টিউবওয়েল সরকারি খরচে স্থাপনসহ সরকারি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকার সত্যতা পেয়েছে দুদক। স্ত্রীর নামে কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়িসহ দেশে–বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলেও দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল–কমলগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে ১৯৯১ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২০২৪–এর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত টানা সাতবার নৌকা প্রতীকে এমপি হন আব্দুস শহীদ।
বগুড়া–৫ আসন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
আর সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন কাজের ঠিকাদারি নেওয়া ও কাজ সম্পন্ন না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।