নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অপারেশন ম্যানেজারের কক্ষে ঢুকে অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যার হ্যাক করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক এখনো মুখ খোলেননি। গতকাল আবারও তাঁদের এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, তাঁরা পেশাদার অপরাধীর মতো, কোনোভাবেই মুখ খুলছেন না।
আদালত সূত্র জানায়, এই মামলায় নতুন তদন্তকারী চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুল হাসান গতকাল রোববার নিজে আদালতে হাজির হয়ে দু্ই আসামির রিমান্ড চান। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আবদুল হালিম শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই দুই আসামি হলেন ঢাকার তেজগাঁওয়ের মণিপুরীপাড়ার মো. মেহেদী হাসান ওরফে রায়হান (২৯) ও ফেনী সদর এলাকার খায়েজ আহমেদ (২৯)। ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অপারেশন ম্যানেজারের কক্ষ থেকে তাঁদের হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল। এর আগে এই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বন্দর থানার এসআই সাইদুল ইসলাম। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই আসামিরা খুব ‘কঠিন প্রাণের’। তাঁদের এর আগে কাস্টমস কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কিন্তু তাঁরা কোনোভাবেই মুখ খেলেননি। উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কাস্টমস হাউসের নিচতলায় উপকমিশনার নুরুন নাহার লিলির অপারেশনাল কক্ষে ঢুকে পড়েন দুই আসামি। এ সময় এক আসামিকে ভেতরে নথিপত্র তন্নতন্ন করতে দেখা যায়। আরেকজন কাস্টম হাউসের ভেতরে পায়চারি করছিলেন। পরে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করে আটক করেন। এ ঘটনায় কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মহসিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তের একপর্যায়ে প্রথম দফায় তাঁদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কোনো কিছু স্বীকার করেননি।