এক বছর সাজা খাটার ভয়ে পাঁচ বছর পালিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ বাঙ্গালী নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা পায়নি শহিদুল ইসলাম (৩০)। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পৌর এলাকার বাঙ্গালী নদী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন সারিয়াকান্দি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) স্মরণ খান। ২০১৭ সালের যৌতুক মামলায় পলাতক আসামি ছিলেন তিনি।
সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম।শহিদুল জানান, ২০১৫ সালে নাটোর জেলার সিংড়া থানার সুকাশ ইউনিয়নের বিবি আদখোলা গ্রামের নূরুন্নাহারের সঙ্গে প্রেম করে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দেনমোহর ধরা হয়েছিল ১ লাখ টাকা।
বিয়ের পর ঘরজামাই থাকা নিয়ে তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০১৬ সালেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২০১৭ সালে তাঁর সাবেক স্ত্রীর করা যৌতুক নিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর দুই মাস হাজতবাস করার পর নাটোর জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। ওই মামলায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নাটোর জেলা জজ আদালতের রায়ে তাঁর দুই বছর কারাদণ্ড হয়। আপিলে তাঁর এক বছর কারাদণ্ড মওকুফ হয়। তখন থেকেই শহিদুল বিভিন্ন জেলায় পলাতক ছিলেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মিথ্যা একটি যৌতুকের মামলায় আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এলাকার খুবই প্রভাবশালী।’
এএসআই স্মরণ খাঁন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহিদুল ইসলামকে খুঁজে পেলেও তিনি আমাকে দেখে পালানোর জন্য দৌড় দেয়।একপর্যায়ে তিনি বাঙ্গালী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
সারিয়াকান্দি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গতকাল শনিবার সকালে বগুড়া জেলা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।