ঢাকার শাহবাগে নিজ দলের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করার সময় প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইনামুল হককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনাকারী বানি আমিন ঘটনার জন্য অনুতপ্ত। ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি অনুপ্ত হয়েছেন। মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদকের কাছে তিনি অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বানি আমিন গত বছর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি মামলা ছিল তাঁর নামে। তবে সেসব মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ঘটনার দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগদান শেষে ফেরার পথে শাহবাগে প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইনামুল হককে নিজ দলের প্রচারপত্র বিলি করার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত সোমবার বিকেলে গিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, বানি আমিনের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ কথা বলার সাহস রাখে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেপরোয়া জীবন যাপন করছেন।
তবে বানি আমিনকে বাড়িতে পাওয়া না গেলেও মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি। ঢাকার ঘটনায় আমি খুব বিব্রত। জেলা
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন আমার অভিভাবক। তাঁর সঙ্গে কথা বলে করণীয় ঠিক করব।’
জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, বানি আমিন যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ঠিক হয়নি। তবে প্রকৌশলী ইনামুর রহমানের এমন কর্মসূচিও গ্রহণযোগ্য নয়।