হোম > অপরাধ

নদী খননের বালু লুট রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ও পুকুর খননের কোটি টাকার বালু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন প্রকল্পে এ বালু দিয়েই কাজ করছেন কিছু অসাধু ঠিকাদার। নদী খননের বছর পার হলেও এই বালুর ইজারার দরপত্র আহ্বানে গড়িমসির কারণে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ-দৌলা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি সম্পদ এই বালু দিয়ে ঠিকাদারের কাজ করার কোনো এখতিয়ার নেই। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সেখানে প্রতিনিধি পাঠানোর কথা বলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ডালিয়া পাউবো ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তার সিলটাপসহ পাউবোর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৫টি নদী-খাল-পুকুর খননের কাজ বরাদ্দ দেয়। খনন করা হয় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে। ড্রেজার মেশিনের বালু তিস্তা নদী ও পুকুরের পাড় ঘেঁষে ওপরের জমিতে স্তূপ করে রাখা হয়। ওই সব স্থানে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রচার করা হয়, ‘পাউবোর নদী খননের স্তূপ করা বালু সরকারি সম্পদ। এই বালু কেউ বিক্রি করতে পারবে না, যদি কেউ বালু বিক্রি কিংবা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, ডালিয়া ব্যারাজ-সংলগ্ন অবসর ভবনের পাশেই স্তূপ করা সরকারি বালুতে দিনদুপুরে চলছে হরিলুট কারবার। পাশেই ৫ কোটি টাকা বরাদ্দে ডালিয়া ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাসের ৬১০ মিটার রাস্তা কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। এ কাজের জন্য বালু ক্রয় না করে পাউবোর নদী খনন প্রকল্পের সরকারি বালু দিয়েই কাজ চলছে।

কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, ‘ঠিকাদারকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে নদী খননের বালু ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। বালুর স্তূপে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই বালু দিনদুপুরে লুটপাট চলছে। প্রতি ট্রলি বালু বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক গড়ে উঠেছে নানা ধরনের সিন্ডিকেট। এলাকাবাসী আরও জানান, পাউবো ডালিয়া অফিসের এলাকাজুড়ে খননের কোটি টাকার বালুর স্তূপ ছিল। শুধু প্রশাসনের তদারকির অভাবে বেশির ভাগ বালু লুট হয়েছে। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারালেও অসাধু ব্যক্তিরা আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।

বালু বহনকারী ট্রাক্টর শ্রমিক শাহীন বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে ট্রাক্টর চালাই। মাটি ও বালু বহন করে সামান্য আয় করি। ঠিকাদারের কথাতেই সরকারি কাজে বালু উত্তোলন করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকেরা সব জানে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাক্টর মালিক বলেন, ‘বালু লুটেরারা বালু বিক্রি করে আর আমরা ভাড়ার বিনিময়ে গাড়ি দেই। একজন বালু ব্যবসায়ী দিনে কমপক্ষে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার বালু বিক্রি করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সামনেই বালু লুট হচ্ছে অথচ প্রশাসনের চোখে আমরাই চোর, আর বালু লুটেরারা ভালো মানুষ।’

মোহাম্মদপুরে ফের ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট

শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা, গ্রেপ্তারের পর তিন কিশোর সংশোধনাগারে

ভাবিকে বিয়ে করতে বড় ভাইকে খুন, গ্রেপ্তার ৩

যাত্রী সেজে আটোরিকশা চালককে খুন, গ্রেপ্তার ২

পাবনায় পদ্মায় ভাসছিল কিশোর ও তরুণীর মরদেহ

শ্রীপুরে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, রক্তমাখা দা উদ্ধার

মেহেদির রং মোছার আগেই ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল প্রবাসফেরত যুবকের

বিশেষ অভিযান জোরদারের নির্দেশ আইজিপির

মিরপুর ডিওএইচএসে বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার স্ত্রী খুন

ধানখেতে পড়ে ছিল তরুণের লাশ, পাশে রক্তমাখা টি-শার্ট

সেকশন