দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে চুরি যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের মিটার ফেরত নিতে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে হয়েছে গ্রাহকদের। এর আগে চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেন ভুক্তভোগীরা।
থানায় অভিযোগকারী আইয়ুব আলী জানান, মিটার চুরির ঘটনায় প্রায় দুই মাস অপেক্ষার পর ধান ভাঙা ও চলতি বোরো মৌসুম চলে আসায় বাধ্য হয়ে চোরের বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়ে প্রায় ৭টি মিটার ফেরত নেওয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, নবাবগঞ্জে বিদ্যুতের মিটার চুরির মামলায় বিরামপুরসহ কয়েকটি থানায় আটক চোরদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শিগগির মূল হোতাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নবাবগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. বনিয়ার রহমান জানান, ওই সময় মোট ১১টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে চোরদের ৬-৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ৭টি মিটার ফেরত নেওয়ার কথা শুনেছি। যেহেতু ওই সব মিটার বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তাই চোরদের টাকা দিয়ে মিটার নিতে গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করেছিলাম, কিন্তু তাঁরা আমার কথা শোনেননি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর, ফতেপুর মাড়াষ, সগুনখোলা ও মালিপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১১টি সেচ ও মিলের মিটার চুরি হয়।