যশোর প্রতিনিধি
‘চাঁদের মতো ফুটফুটে একটি শিশু। ওর তো কোনো শত্রু থাকার কথা নয়। ঈদের জামাকাপড় কিনে দিয়েছি। তারপর আমার নাতনিটারে কসমেটিকস দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে এভাবে মেরে ফেলল! আমি ওর সৎমায়ের সঙ্গে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করব, আমার নিষ্পাপ নাতনিডারে কেন এভাবে মারল? ওর তো কোনো দোষ নাই।’ গতকাল মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন নিহত ১২ বছরের শিশু জোনাকি খাতুনের নানা সুরুজ মিয়া।
গতকাল দুপুরে যশোর শহরের রেলস্টেশন মডেল মসজিদের পেছনের একটি ডোবা থেকে জোনাকির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর আগে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয় শিশুটি।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জোনাকি রেলস্টেশন এলাকার ইজিবাইকচালক শাহীন তরফদারের মেয়ে। সে তার বড় ভাই ও বোনের সঙ্গে বেনাপোলে নানাবাড়িতে থাকত। গত শুক্রবার জোনাকি নানাবাড়ি থেকে বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমের সঙ্গে দেখা করতে যশোরে আসে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শিশু জোনাকি হত্যার ঘটনায় তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’