সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। এই সিন্ডিকেটেরই অভিযুক্ত কর্মচারীদের একজন সাবেক পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরিয়ে আসছে সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের নানা দিক। একই সঙ্গে আলোচনায় এসেছেন তাঁর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। আজ সোমবার দুপুর থেকে এই দুজনের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এসবের মধ্যে আছে উড়োজাহাজ ও প্রাইভেট কারে ভ্রমণ, সমুদ্রপাড়ে সৈয়দ আবেদ আলীর নামাজ পড়ার বিভিন্ন ছবি। পাশাপাশি ভাইরাল হচ্ছে ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের ফলোয়ারদের প্রতি নানা উপদেশ ও তাঁর নিজস্ব জীবনদর্শন-সংবলিত পোস্ট।
এরই মধ্যে আবেদ আলী, তাঁর ছেলে সিয়ামসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৮ মে সিয়াম দুঃসময়ের সঙ্গীকে সুদিনে পাশে রাখার পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ‘নারীর সততা প্রকাশ পায় পুরুষের শূন্য পকেটে, আর পুরুষের সততা প্রকাশ পায় ভরা পকেটে। যে নারী শূন্য পকেটে পাশে থাকে, সুদিনে তার প্রতি যত্নশীল হওয়া একজন পুরুষের নৈতিক দায়িত্ব। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে, দুঃসময়ের সঙ্গীকে সুদিনে পাশে রাখা!’
গত ২৪ মে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম তাঁর ফেসবুক ফলোয়ারদের টাকার পেছনে না ছোটার পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ‘টাকা টাকা করে হয়ে যাচ্ছো অন্ধ, এভাবে চলতে থাকলে বিবেকের দরজা ঠিক হয়ে যাবে বন্ধ। টাকার প্রয়োজন আছে কথা সত্য। তবে টাকায় হওয়া যাবে না মগ্ন।’
গত ১৬ মের এক পোস্টে লিখেছেন, ‘উপকার করে হয়েছি বোকা... ! বিশ্বাস করে খেয়েছি ধোঁকা। অভিযোগের পাতায় হয়নি লেখা। সময়ের ব্যবধানে আজ একা... !’
বাবা, চাচাদের দৈনন্দিন ধর্মচর্চার বিভিন্ন ছবিও নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করতে দেখা গেছে সিয়ামকে। গত ২৪ জুন নিজের দুই চাচার সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়ে সেলফি তুলে পোস্ট করে লেখেন, ‘ফজরের নামাজ শেষে আমার প্রিয় বড় চাচা সৈয়দ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সৈয়দ সাবেদ আলীর সাথে। মিসিং ইউ আব্বু।’