ময়মনসিংহে ছয় দিনের ব্যবধানে অটোরিকশা বা ইজিবাইকের তিন চালক খুন হয়েছেন। এ নিয়ে অন্য চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সভা করছে পুলিশ। দেওয়া হচ্ছে নানা নির্দেশনা।
নগরীর ইজিবাইকচালক হোসেন মিয়া বলেন, ‘চালকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আমরা খুব সতর্ক। বিশেষ করে রাতে অপরিচিত লোকজন নিয়ে কোথাও যাই না।’
ময়মনসিংহ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম শাহীন জানান, অধিকাংশ চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারাই মূলত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তাদের কোনো সংগঠন নেই, সেখান থেকে পরামর্শ পাবে।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে যথাযথ বিচার না হওয়ায় এসব হত্যাকাণ্ড রোধ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংগঠনের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনেরও দায় রয়েছে।
এ নিয়ে কথা হলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন বলেন, থানার ওসিদের বলা হয়েছে চালকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করতে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মহাসড়কে রাত ১২টার পর কোনো অটোরিকশা চালাতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। চালকেরা বেশি ভাড়ার লোভে রাতে গাড়ি চালাতে গেলে ঘটনাগুলো ঘটে। অসময়ে কেউ যেন ভাড়া নিয়ে না যায়। রাত ১২টার পর কোনো যাত্রী নিতে হলে তাঁকে চিনতে ও ছবি তুলে কাউকে দিয়ে রাখতে হবে। তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ পাবে না।