বরিশালের গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের নির্বাহী সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পৌর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতাসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান লাইভ প্রচারের সময় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদারের নাম না প্রচার করার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় টরকী বন্দর হাইস্কুল রোডে সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করেছেন বলে দাবি আহত সাংবাদিকের। এদিকে এ ঘটনায় রাশেদ হাওলাদারকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান জানান, শুক্রবার সকালে সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বরিশাল মেট্রোর অনলাইনে লাইভ প্রচার করেন তিনি। প্রচারের সময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌর মেয়রসহ সিনিয়র নেতাদের নাম উল্লেখ করেন। ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদারের নাম প্রচার না করায় রাশেদ হাওলাদার ও তাঁর সহযোগী শামীম দেওয়ানসহ ৬ থেকে ৮ জন শনিবার সন্ধ্যায় ফারুককে দোকান থেকে তুলে স্কুল রোডে নিয়ে মারধর করেন।
রাশেদ হাওলাদার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বালু ভরাটের ব্যবসা করে আসছি। ফারুক আমার কাছে চাঁদা চেয়েছেন।’ এদিকে ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হাওলাদারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান দ্বীপ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, হামলার ব্যাপারে সাংবাদিক মোল্লা ফারুক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল রোববার সকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় বক্তারা ফারুকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।