কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করার নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফরিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার মাধ্যমে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
তবে এই টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নন ভাতাভোগীরা। তাঁরা বলছেন, টাকা নেওয়া হলেও রসিদে টাকার পরিমাণ লেখা হচ্ছে না। এদিকে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও জানেন না চেয়ারম্যান।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের শতভাগ অনলাইন জন্মনিবন্ধনকরণের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে।
ভাতাভোগী শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে, জানা নেই। অনলাইন করতে ২০০ টাকা লাগবে এ জন্য দিচ্ছি। টাকা নেওয়ার কোনো রসিদ দেওয়া হয়নি।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) কর্মীরা জানান, প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ভাতাভোগীর জন্মনিবন্ধন শতভাগ অনলাইন করার জন্য ৫০ টাকা আবেদন ফি, যাদের জন্মনিবন্ধন সংশোধন প্রয়োজন তাদের কাছ থেকে আরও ১০০ টাকা সংশোধন ফি এবং খাজনা ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের শতভাগ অনলাইন জন্মনিবন্ধন করার জন্য ডিডিএলজি স্যার ২০০ টাকা করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আর টাকা তুলে আমি কি আত্মসাৎ করছি নাকি? আরও কিছু বলার থাকলে অফিসে আসেন।’
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে, এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই।সচিবের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানানো হবে।’
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) তোফাজ্জল হোসেন জানান, আবেদন ফি, সংশোধন ফি এবং উদ্যোক্তার পারিশ্রমিক বাবদ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা নিতে পারবেন। তবে যাদের সংশোধনের প্রয়োজন নেই; তাদের ক্ষেত্রে সংশোধন ফি শিথিলযোগ্য। যাদের জন্মনিবন্ধন অনলাইন করা আছে, তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া অন্যায়।
তোফাজ্জল হোসেন আরও জানান, কেউ যদি খাজনা আদায় করে তাহলে খাজনার আলাদা রসিদ দিতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।