মেক্সিকোর পশ্চিম মিচোয়াকান রাজ্যের রাজধানী মোরেলিয়ার একটি রেস্তোরাঁয় মেয়র গুইলারমো টোরেসকে (৩৯) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সহিংসতা এবং সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের এটিই সর্বশেষ ঘটনা। আঞ্চলিক কৌঁসুলির অফিসের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
আঞ্চলিক কৌঁসুলির অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোরেলিয়ার একটি রেস্তোরাঁয় গুইলারমো টোরেসের সঙ্গে থাকা তার ১৪ বছর বয়সী ছেলেকেও আক্রমণ করা হয়েছিল। তবে প্রাণে বেঁচে যায় তার ছেলে।
স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, টোরেস ২০২২ সালে ইনস্টিটিউশনাল রেভল্যুশনারি পার্টির সদস্য হিসেবে মিচোয়াকানের চুরুমুকো পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি দল ছেড়েছেন এবং ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের জন্য প্রকাশ্যে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
এএফপির তথ্য অনুসারে, টোরেস হলেন সর্বশেষ রাজনীতিবিদ, যাকে মেক্সিকোতে আগামী ২ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে খুন করা হলো। আসন্ন এ নির্বাচনে ২০ হাজার স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পদ এবং পুরো কংগ্রেসের জন্য ভোটগ্রহণ হবে।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খুন করা হয়েছিল দুই মেয়র প্রার্থীকে। তারা হলেন—মোরেনা পার্টির মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল জাভালা রেইস এবং ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টির প্রার্থী আরমান্দো পেরেজ লুনা।
ল্যাবরেটরিও ইলেক্টোরাল থিংকট্যাংকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের ৪ জুন থেকে এই বছরের ২৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় মেক্সিকোয় ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৬ জনেরই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।
মেক্সিকোর প্রধান অ্যাভোকাডো উৎপাদনকারী অঞ্চল মিচোয়াকান রাজ্যে শক্তিশালী জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেলসহ সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ক্রমাগত সংঘর্ষ চলতেই থাকে।
ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অপরাধী গোষ্ঠীকে খুঁজে বের করার অভিযানে গিয়ে বিস্ফোরণে চার সামরিক সদস্য নিহত এবং ৯ জন আহত হন।
মেক্সিকোতে হত্যা ও অপহরণ নিয়মিত ঘটনা। সরকারি তথ্য অনুসারে, সেখানে ২০০৬ সাল থেকে মাদকসংক্রান্ত সহিংসতার কারণে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।