নীলফামারীর ডিমলায় হাটের গণশৌচাগার ভেঙে দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে হাটে আসা মানুষ বিপাকে পড়ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ী হাট বসে সপ্তাহে দুদিন। হাটের দোকানগুলো স্থায়ী হওয়ায় সেখানে প্রতিদিনই কেনাবেচা হয়। আশপাশের চারটি চর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ আসেন এই হাটে। কিন্তু সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য হাটের জায়গায় নির্মিত একমাত্র গণশৌচাগার ভেঙে প্রায় ৪ শতাংশ জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
শুটিবাড়ী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ডিমলা-ডালিয়া সড়কের নুর হোটেলের পাশে গণশৌচাগার দখল করে দোকানঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী। শৌচাগারের জায়গায় দোকান চালাচ্ছেন মোকসেদুল ইসলাম ও মেহের আলী। তাঁদের মধ্যে মোকসেদুল বলেন, ‘আমি তো শৌচাগার দখল করিনি। দোকান হিসেবে নিয়েছি এবং আমি একজন ভাড়াটে মাত্র। আমি দুলাল ভাইয়ের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি।’
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন দুলাল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি এটা পরিষ্কার করে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছি। তবে উপজেলা প্রশাসন বা ভূমি অফিস থেকে কোনো লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
চড়খড়িবাড়ি গ্রামের সাধু মিয়া জানান, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কেনাকাটা করতে সম্প্রতি শুটিবারি হাটে আসেন। হাটে প্রবেশ করার পরেই তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু গণশৌচাগার না থাকায় বিপাকে পড়েন তাঁরা।
শুটিবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন বলেন, অনেক দূরদূরান্ত থেকে এই হাটে মানুষ আসে। গণশৌচাগার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’