বিচারবহির্ভূতভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ও গুনাহের একটি বিবেচনা করা হয়। তাই কোনোভাবেই এমন কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়ানো যাবে না। এখানে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে কোরআনের কিছু আয়াত তুলে ধরা হলো—
১. ‘নিশ্চয় যারা আল্লাহ তাআলার আয়াত ও নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করে, অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করে এবং মানুষের মধ্য থেকে যারা ন্যায় ও ইনসাফের আদেশ করে তাদেরও (হত্যা করে)। (হে নবী) তুমি তাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। এদের আমলসমূহ ইহকাল ও পরকালে নষ্ট হয়ে যাবে এবং এদের জন্য তখন আর কেউ সাহায্যকারী হবে না।’ (সুরা আল ইমরান: ২১-২২)
২. ‘আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করে, তার শাস্তি হবে জাহান্নাম। তার মধ্যে সে সব সময় থাকবে এবং আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ক্রুদ্ধ হবেন ও তাকে অভিশাপ দেবেন। তেমনিভাবে তিনি তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভীষণ শাস্তি।’ (সুরা নিসা: ৯৩)
৩. ‘যারা এগুলো (অন্যায় হত্যা ও ব্যভিচার) করবে, তারা অবশ্যই শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তাদের দ্বিগুণ শাস্তি দেওয়া হবে এবং তারা ওখানে চিরস্থায়ীভাবে লাঞ্ছিত অবস্থায় থাকবে।’ (সুরা ফুরকান: ৬৯)
৪. ‘ওই কারণেই আমি বনি ইসরাইলকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছি, যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে হত্যার শাস্তি হিসেবে বা ভূপৃষ্ঠে ফাসাদ সৃষ্টির শাস্তি হিসেবে ছাড়া অন্যায়ভাবে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে ব্যক্তি কাউকে অবৈধ হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা করল, সে যেন সব মানুষকেই রক্ষা করল।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)