নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল এ আশ্বাস দেয়।
এদিন দুপুর দেড়টার দিকে দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আসেন বিশ্বব্যাংকের ‘স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি’ বা চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ (এসটিএআর) লিড ফাইন্যানসিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট এমিলি জোনাস ও ফাইন্যানসিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট সোফি ডং।
পৌনে ২টার দিকে দুদকে এই বৈঠক শুরু হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল সাড়ে ৩টার দিকে দুদক থেকে বের হয়। বৈঠকে অর্থ পাচার এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলে দুদক চেয়ারম্যানকে আশ্বস্ত করেছেন।
আকতারুল বলেন, পাচারের অর্থ ফেরতের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের এসটিএআর টিমের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল তাঁদের পক্ষ থেকে কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, পাচার করা অর্থ ফেরত আনা ও দুদক কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংক কীভাবে আমাদের সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়ে থাকে সেসব দেশে নথিপত্র পাঠাতে তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করতে চান। যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সেসব দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে তাঁরা কথা বলে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।