পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজে ধর্ষণ শেষে হত্যার এক সপ্তাহ পর শিশুর (১২) লাশ বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে শিবচরসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেন একই এলাকার অটোবাইকচালক মো. আল-আমিন (৩৫)। ঘটনা ধামাচাপা দিতে লামিয়ার লাশ বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ভাসিয়ে দেন আল-আমিন। পরে পুলিশ আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে গলাচিপার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আল-আমিন।
স্বীকারোক্তিতে শিশুকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ফেলে দেওয়ার কথা জানান আল-আমিন। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ওই নদে তিন দিন অভিযান চালিয়েও শিশুটির লাশ পায়নি। এক সপ্তাহ পর আজ সকালে বঙ্গোপসাগরে লামিয়ার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন জেলেরা। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে শিবচরসংলগ্ন এলাকায় শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে জেলেরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’