পটুয়াখালীর বাউফলে ন্যায্যমূল্যের ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীদের ডিজিটাল ওজন যন্ত্রের পরিবর্তে বালতি ব্যবহার করে চাল মেপে দেওয়া হয়। ফলে ৩০ কেজির জায়গায় ২৮-২৯ কেজি চাল পাওয়া যায়।
উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাড়েরবাজার এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুবিধাভোগীরা। তাঁদের প্রতিবাদের মুখে ডিলার লিটন মৃধা চাল বিক্রি বন্ধ করে দেন।
পাকডাল গ্রামের সুবিধাভোগী রাজ্জাক মৃধা জানান, সকাল থেকে লিটন মৃধা বালতিতে চাল মেপে দিচ্ছিলেন। যে কারণে মাপে কম হচ্ছিল। এ ছাড়া চাল বিতরণের সময় কোনো ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না।
ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন ডিলার লিটন। তিনি জানান, সুবিধাভোগীদের সম্মতিতে দ্রুত বিতরণের জন্য বালতিতে চাল মেপে দিয়েছেন। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে চাল বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করে সঠিক ওজনে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
যোগাযোগ করা হলে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।