পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২৮ ডিসেম্বর উত্তর মদনপুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শনের জন্য নিজের অফিস সহকারীর কাছে ঘুষ দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ওই পরিদর্শনের প্রত্যয়নপত্র প্রস্তুত করে শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিতে যান অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন। এ সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ টাকাপয়সা দিয়েছে কি না জানতে চান শিক্ষা কর্মকর্তা। জবাবে জালাল উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসাটি তাঁর গ্রামের। তাই তিনি টাকাপয়সা নিতে পারেননি। তিনি যেন প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করে দেন।
কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা ছাড়া ওই প্রত্যয়নপত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অফিস সহকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার জালাল উদ্দিন আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমি অফিসে কাজ করতে পারছি না। তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন।’
তবে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই মাদ্রাসা পরিদর্শন করে অনেক অসংগতি পেয়েছি। তাই প্রত্যয়নপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু প্রত্যয়নপত্রের জন্য জালাল উদ্দিন আমাকে বাধ্য করতে চাচ্ছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।