পিরোজপুরের নেছারাবাদে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌ পুলিশের দুজন কর্মকর্তা মাসিক ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় জেলেদের। তবে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের কামারকাঠি গ্রামের জেলে মো. রুবেল মিয়া অভিযোগ করেন, দেড় মাস আগে নৌপুলিশের ওসি বিকাশ চন্দ্র দে এবং এএসআই জসিম তাঁর নৌকা আটক করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি অনেক কষ্টে ধারদেনা করে ৪ হাজার টাকা দিয়েছেন। এখন মাসে মাসে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।
কামারকাঠি গ্রামের ফিরোজ শেখ নামের অপর জেলে বলেন, ‘আমাদের কামারকাঠি গ্রামের জেলেদের কাছ থেকে ১ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন নেছারাবাদের নৌ পুলিশ জসিম। ঘনমান গ্রামের মো. সোহাগের মাধ্যমে এই টাকা তুলছেন তিনি। আমরা যারা নিষিদ্ধ সময় বাদে নদীতে সুতার জাল বাই, আমাদের কাছ থেকে কেন চাঁদা চাওয়া হচ্ছে? চাঁদা না দিলেই আইনের নানা অজুহাত দেখিয়ে জসিম আমাদের হয়রানি করছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে নেছারাবাদ নৌ পুলিশের এএসআই মো. জসিম বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি না। চার মাস ধরে আমরা কোনো অভিযানে নামিনি। এখন পুলিশের একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। তাই জেলেরা যা ইচ্ছে বলছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নেছারাবাদ নৌপুলিশের ওসি বিকাশ চন্দ্র দে বলেন, ‘কাজ করতে গেলে অনেকে অনেক কিছু বলে। তাতে করার কী আছে! তবে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেছারাবাদ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কাউখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলেদের কাছ থেকে নৌ পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগটি শুনেছি। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানো হবে।’