পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব পশারিবুনিয়া গ্রামে শিশু গৃহকর্মী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত মামুন মুন্সীর ঢাকায় ব্যবসা করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির ফুপু তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর ফুপু বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মেয়েটির ফুপু জানান, শিশুটির মায়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। এরপর সুলতান মাস্টারের ছেলে মামুন মুন্সীর বাড়িতে শিশুটি গৃহকর্মীর কাজ নেয়। একপর্যায়ে মামুন মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করে এবং মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মামুনের স্ত্রী রোজিনা আক্তার মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে বুঝতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। পরে স্ত্রীর সহায়তায় অভিযুক্ত মামুন মুন্সি ওই মেয়েটিকে খুলনার একটি হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে অসুস্থ পড়লে মেয়েটির স্বজনদের না জানিয়ে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য গোপন করে। গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়।
এ ঘটনায় মেয়েটির ফুপু বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্তা মামুন মুন্সি (৩৮), তাঁর স্ত্রী রোজিনা আক্তার আয়শা ও আলমগীর তালুকদারকে (৬০) আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. বজলুর রহমান জানান, পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে গতকাল শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেহেদি হাসান জানান, আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।