বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বৃদ্ধ মাকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় ছেলেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মারধরের পর মামলা করলে পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আহত বৃদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন, ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে শংকর রায় এবং তাঁর ভাশুরের ছেলে সুব্রত রায়।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের জোবারপাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সুশীলা রায় (৬৫) ওই গ্রামের মৃত সুরেশ রায়ের স্ত্রী। স্বামীর রেখে যাওয়া অর্থ-সম্পত্তি দখলে নিতে ছেলেরা নানাভাবে তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে তিনি রাজি না হলে ছেলে শংকর রায়, তুষার রায়, ঝন্টু রায়, তাঁদের স্ত্রীরা এবং ভাশুরের ছেলে সুব্রত রায় তাঁকে মারধর করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুরেশ রায়ের মৃত্যুর পর বড় ছেলে শংকর রায়, তুষার রায় ও মেজ ছেলে ঝন্টু রায় মা সুশীলা রায়ের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেননি। তবে ছোট ছেলে কাঠমিস্ত্রি মন্টু রায় মায়ের দেখভাল করতেন। টাকা ধার চেয়ে না পেলে অন্য ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীরা প্রায় সময়ই তাঁকে মারধর করতেন। ভাশুরের ছেলে এ সময় তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠক ডাকা হলেও শংকর, তুষার ও ঝন্টু তাতে উপস্থিত হতেন না।
সুশীলার ছোট ছেলে মন্টু রায় বলেন, ‘নয় বছর আগে বাবা মারা গেছেন। কিন্তু আমার বড় তিন ভাই মাকে কখনো ভরণ-পোষণ দেননি। বরং তাঁরা ও তাঁদের স্ত্রীরা মিলে বাবার রেখে যাওয়া অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নিতে প্রায় সময়ই মাকে মারধর করত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। আজ সকালে তারা মাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।’
আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুর রহমান বলেন, সুশীলা রায়কে সকালে মারধরের পর তিনি বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় নিজের সন্তানসহ সাতজনের নামে মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে তাঁর ছেলে শংকর রায় ও তাঁর ভাশুরের ছেলে সুব্রত রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।