বরগুনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার পর বিরুদ্ধে উল্টো চাঁদাবাজি মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক গৃহবধূ।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ছোট বোন জানান, গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যার পর বাজারে আজাদ ইলেকট্রনিকস নামের একটি দোকানে ফ্যান কিনতে যান তিনি। ওই দোকানের মালিক আবুল কালাম আজাদ গৃহবধূকে জানান, স্ট্যান্ড ফ্যান দোকানে নেই, গোডাউনে রাখা আছে, ওখান থেকে পছন্দ করে নিতে হবে। এরপর দোকান মালিক ফ্যান দেখানোর কথা বলে শহরের পোস্ট অফিস সংলগ্ন একটি বাসায় নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
বাসায় ফিরে তিনি বিষয়টি তাঁর স্বামী ও ছোট বোনকে জানান। তাঁদের পরামর্শে ঘটনার পরের দিন সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান তিনি। পুলিশের পরামর্শে ওই গৃহবধূ বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন। কিন্তু বিচারক না থাকায় মামলার শুনানি হয়নি। মামলার বিষয়টি টের পেয়ে কালাম বরগুনা থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার দুপুরে গৃহবধূসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কালামের করা মামলায় পুলিশ একাধিকবার ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করতে বাসায় অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ধর্ষক বাজারে ব্যবসা করায় তাঁর পক্ষে প্রভাবশালী কিছু লোক ইন্ধন দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। উল্টো আমাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। পুলিশের ভয়ে নিজে বাদী হয়ে আদালতে দাখিল করা মামলাটির শুনানিতেও অংশ নিতে পারছেন না গৃহবধূ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরগুনা সদর থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ সেটি তদন্ত করছে। ওই নারীর অভিযোগের বিষয়ে আদালত থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।