লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাস থেকে নামিয়ে এক নারীকে তিন যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে মামলা দায়ের করা হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চাটখিল থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর যাওয়ার জন্য ওই নারী ‘জননী’ নামে একটি গাড়িতে ওঠেন। ভুলক্রমে বাসটি রামগঞ্জ সোনাপুর নামক স্থানে ওই নারীকে নামিয়ে দেয়। পরে ঘটনাটি অপর বাসের চালক ও হেলপারকে জানালে তাঁরা ভুক্তভোগীকে নোয়াখালীগামী অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়ার কথা বলে বাসে বসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই এমরান হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগী গাড়ি থেকে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তুলে বাস টার্মিনালের পেছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বাজারের প্রহরী শাহজাহান মিয়াসহ অন্যরা এগিয়ে এলো অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান।
অপরদিকে, প্রহরী শাহজাহান মিয়া অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানা হেফাজতে নেয়।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গুনময় পোদ্দার বলেন, শাহজাহান মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন। তবে তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, আজ সকালে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বাসের হেলপার আজাদ উদ্দিন, উপজেলার কাজিরখিল এলাকার এমরান হোসেন ও অজ্ঞাত একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এর আগে গতকালে রাতেই বাসের হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আজাদ হোসেনকে আদালতে তোলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। অপরদিকে, ভুক্তভোগীকে তাঁর মামার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।