চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
গণপরিবহনে যাত্রীকে অজ্ঞান করে টাকা লুট করে নেওয়ার সময় হাতেনাতে অজ্ঞান পার্টির দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন অপর যাত্রীরা। আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুচি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত লিয়াকত উল্লাহর ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৬) এবং একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কামাল হোসেন (৪০)।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে ফেনী জেলার বালিগাঁও গ্রামের মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে মো. রবিউল হক সুমন (৪৫) এবং তাঁর সহযোগী মো. নুরুল আফসার ও সিদ্দিকুর রহমান কোরবানির গরু কেনার জন্য ফেনী থেকে বাসে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিশান্নি গরুর হাটে রওনা করেছেন। এ সময় পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাবুচি নামক স্থানে পৌঁছালে অপর যাত্রীরা লক্ষ করেন রবিউল হক সুমনের মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হচ্ছে। তখন যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে সুমনের পাশ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বাসের অপর যাত্রীরা তাঁকে জাপটে ধরে ফেলেন।
একই সময়ে আরেক ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদের টয়লেটে আশ্রয় নিলে যাত্রীরা তাঁকেও আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ওসমান গণি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপরিবহনে যাত্রীদের হাতে আটক নাছির উদ্দিন ও কামাল হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেন।
এ সময় আটক দুই ব্যক্তির কাছ থেকে সুমনের খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে অর্থের মালিক নুরুল আফসার বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁরা তিনজন ফেনী থেকে যাত্রীবাহী বাসযোগে চৌদ্দগ্রামের মিশান্নি গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। গরু কেনার জন্য নেওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সুমনের কাছে ছিল। তারা বাবুচি এলাকায় পৌঁছালে লক্ষ করেন সুমনের মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং অজ্ঞান পার্টির দুজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগের একটি ডাকাতির প্রস্তুতি ও একটি চুরির মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।’
ত্রিনাথ সাহা আরও বলেন, ‘আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ এসব চক্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্রিয় রয়েছে।’