নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় মইফুল ইসলাম (২৯) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার হাজীপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলাটি তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সবজেল হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত মইফুল ইসলাম বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের তোফায়েল আহমদের ছেলে। তাসফিয়া হত্যার মূল আসামি রিমনের কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য তিনি।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল আসামি রিমনের সহযোগী এবং ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত মইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে আবু জাহেরকে গালাগালি করেন। একপর্যায়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা অন্যদিকে চলে যায়। পরে দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওই সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে আবু জাহেরকে লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করেন। এ সময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে আবু জাহের ও তাসফিয়া বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন থেকে আরও দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন সন্ত্রাসীরা।
এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায় তাসফিয়া। জানা যায়, মাটি কাটার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।