রাঙামাটিতে এজাজুল হক রাব্বী (২৮) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ সময় ঘটনা দেখে ফেলায় এক দারোয়ানকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর আগে আজ শনিবার ভোরে রাঙামাটি শহরের বনরূপাস্থ কবরস্থান এলাকা থেকে রাব্বীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাব্বী বনরূপার বিএম মার্কেটের ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে। রাব্বী শহরের বনরূপার কাটা পাহাড় এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মার্কেটের দারোয়ান আমীর আলী জানিয়েছেন, ‘ভোররাতে রাব্বী ও তাঁর বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হয়। কিছুক্ষণ পর একজন চলে গিয়ে আবারও ফিরে আসেন। তখন কোমর থেকে ছুরি বের করে রাব্বীর বুকের বাঁ পাশে আঘাত করেন তিনি। রাব্বী কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আমি এগিয়ে গেলে ওই যুবক আমাকেও পেছন দিক দিয়ে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আমি চিৎকার শুরু করলে যুবক পালিয়ে যান। পরে চিৎকার শুনে আমার চাচা আবছার উদ্দিন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
রাব্বীর পিতা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, নিহতের বন্ধুরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তিনি জানান, রাত ১১টার সময় রাব্বীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সর্বশেষ কথা হয়। এরপর সকালে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় নিশ্চিত হন।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল হক জানান, নিহতের বুকের বাঁ পাশে একটি বড় আঘাত ও একটি ছোট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছুরির আঘাতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে ওই যুবক মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত আমির আলী রাঙামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।