কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা প্রদান, লাইসেন্স না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গৌরীপুর খিদমা ডিজিটাল হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম খান হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: শহীদুল ইসলাম, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম এবং তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সৈয়দ ফারুক আহমেদসহ প্রমুখ।
পুলিশসূত্রে ও সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামের জামাল হোসেনের ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে সিজার করা হয়। খিদমা হাসপাতালের মালিক দেওয়ান সাইফুল ইসলাম ডাক্তার না হয়েও আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন বলে জানিয়েছেন রোগী এবং তাঁর স্বজনেরা। পরে সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন তাঁর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার চিকিৎসকগণ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান জানান, এই খিদমা ডিজিটাল হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকা, মানহীন অপারেশন থিয়েটার, অপ্রশিক্ষিত ডাক্তার এবং নার্সসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মঙ্গলবার হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কামরুল ইসলাম খান আরও বলেন, স্বাস্থ্য সেবা খাত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাত। এখানে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বিশেষভাবে তদারকি করা হবে।