চট্টগ্রামে পাহাড়তলীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তাঁকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।
আজ শনিবার সকালে পাহাড়তলী বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রেহনুমা ফেরদৌস ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের ছেলে নওশাদুল আমিনের স্ত্রী। এ ছাড়া তিনি চসিকের আরেক প্রয়াত কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাই তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে।
পাহাড়তলী থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে নিচে বিছানায় নামানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
ওসি বলেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ করছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মেয়েটির বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি।’
গৃহবধূর বাবা তারেক ইমতিয়াজ আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা মামলার প্রস্তুতি নেব।’
তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। বিয়ের সময় তাদের দাবি অনুযায়ী আমরা অনেক কিছুই দিতে পারিনি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ছিল। এই কারণে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হত। গত রোজার ঈদের পর সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দুই পরিবারের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছিলেন। এরপর তারা মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকতেন না। আমার মেয়েকে সবসময় একটা মানসিক নির্যাতনের মধ্যে রাখত।’
এ ব্যাপারে জানতে বিকেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেহনুমার দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে ২২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর পুত্র নওশাদুল আমিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।